পেঁপে চাষে সফলতা দেখছেন রাজস্থলীর শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা

0

হারাধন কর্ম, রাজস্থলী :
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন রমতিয়া পাড়ায় পেঁপে চাষ করে সফল শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা। ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে এখন বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করা হতো ফলটি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় রাজস্থলীতে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে পেঁপের।
রাজস্থলী উপজেলার রমতিয়া গ্রামের শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা লাভবান হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে। সারি সারি পেঁপে গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে অসংখ্যা পেঁপে। গত ২ মাস ধরে গাছ থেকে পেঁপে তুলে বিক্রি করলেও গাছের পেঁপে যেন শেষই হচ্ছেনা। গড়ে তুলেছেন এই পেঁপে বাগান।

শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা বাগান, তার বাগানে যশোরের গদখালী জাতের পেঁপে চাষ করা হয়। প্রায় দেড় একর জমিতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। সাত মাসে সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। এ বছর আরও ১০ একর জমিতে পেঁপে চাষের স্বপ্ন দেখছেন শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা। বর্তমানে পেঁপে চাষে স্বাবলম্বি হয়ে উঠেছেন তিনি। তার বাগান থেকে পরের দুই বছরে প্রায় ৬ হতে ৭ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা যাবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় আজগর আলী জানান, শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যার সফলতা দেখে গ্রামের অন্যরাও পেঁপে বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রতি মণ পেঁপে ৯শত হতে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাকড়সা ও ছত্রাক ছাড়া পেঁপে বাগানে তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায়না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পুষ্টিমানসমৃদ্ধ পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলে ফেলা যায়। পেঁপে চাষে অর্থনৈতিকভাবে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অনেক বেকার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব এবং শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি চাষে অগ্রসর হয় তাহলে তারাও লাভবান হবে বলে তিনি মনে করেন।
রমতিয়া গ্রামের ভাগ্যধন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, শ্যামল তঞ্চঙ্গ্যা শিক্ষিত ছেলে। সে হঠাৎ করেই মাঠে পেঁপে চাষ শুরু করে সফল হয়েছে। তার চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে। চাহিদা ভালো থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন। এখান থেকে পেঁপে কিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
রাজস্থলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুর হাসান বলেন, পেঁঁপেতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। পেঁপে চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় এবার প্রায় বিশ একর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় পেঁপে চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে কৃষকরা। #

Share.

Leave A Reply