শীতের আমেজেও গরম সবজির বাজার

0

স্টাফ রিপোর্টার ।   শাক-সবজির দামের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হলো গরমের সময়ের তুলনায় শীতকালে ব্যয় করতে হয় কম অর্থ। তবে এবার, শীতের আমেজ নগরীর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠাণ্ডা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

নগরীর বাজারগুলোতে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু দামে লাগাম আসছে না। ছোট ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম প্রতিটি ৩০ থেকে ৫০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। শিমের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

ক্রেতারা ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য দায়ী করছেন সরকারকে। তাদের অভিযোগ, নগরীর বড় বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই দাম ঠিক করে দিচ্ছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন যে কোভিড মহামারির কারণে সরবরাহ কম থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি বজায় রয়েছে।

শুক্রবার নগরীর কাজিরহাট বাজারে শিম, শালগম ও নতুন আলু কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া বেগুন, মুলা ও বরবটির কেজি চাওয়া হয় মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের দামও কম নয়, কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি আড়াই শ’ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

একইভাবে, দাম বেড়ে প্রতি কেজি গাজর ৮০-১০০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলা ৪০-৫০ টাকা এবং এক হালি ডিম ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০-৫৬০ টাকা, খাঁসির মাংস ৭৫০-৯০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা এবং দেশি জাতের মুরগি ৪৫০-৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বিক্রেতারা জানান, শীত যত বাড়বে, শীতের সবজির সরবরাহ তত বাড়তে থাকবে। তখন দাম কমবে।

বাজারে পুরোনো আলুর কেজি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। যদিও সরকার নির্ধারিত দর ৩৫ টাকা। এ দামে কোথাও আলু বিক্রি করতে দেখা যায়নি। বাজারে এখন চার ধরনের পেঁয়াজ দেখা যায়। সবচেয়ে দাম কম চীনা ও তুরস্কের পেঁয়াজের, মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬০ টাকার আশপাশে ও দেশি পেঁয়াজ মানভেদে কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। চীনা রসুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।

বাজারে ছোট দানার মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ও মোটা দানার মসুর ডাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে সবজির মতো চাল ও ভোজ্যতেলের দাম কমার লক্ষণ নেই।

গত বছরের তুলনায়, মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ২৪-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৪৮ টাকা, মাঝারি চাল ৪২-৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮-৫৬ টাকা এবং চিকন চালের দাম ৪৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪-৬০ টাকা হয়েছে।

Share.

Leave A Reply