ভোটকেন্দ্রে কেউ তলোয়ার নিয়ে আসলে, আপনি রাইফেল নিয়ে দাঁড়ান : সিইসি

0
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ করতে আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করব। তবে কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকে রাইফেল বা আরেকটি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনি যদি দৌড় দেন, তাহলে আমি কী করব? কাজেই আমরা সাহায্য করবো। পুলিশের ওপর, সরকারের ওপর আমাদের কমান্ড থাকবে।
রোববার নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনকে সফল করতে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন ও সদিচ্ছা প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভোটের মাঠে সহিংসতা রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে ইঙ্গিত দেন সিইসি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধ করতে আপনাদেরকেও (রাজনৈতিক দলগুলো) দায়িত্ব নিতে হবে। খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে থাকবেন আপনারা, আমরা রেফারি। ইসির অনেক ক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে বলেন, আমাদের ক্ষমতা কিন্তু কম না, ক্ষমতা প্রয়োগ করব। আমি আপনাদেরকে স্পষ্ট করে জানাতে চাচ্ছি, ১৪ সালের নির্বাচনের দায় আমাদের ওপর চাপাবেন না, ১৮ সালের নির্বাচনের দায় আমাদের ওপর চাপাবেন না। আমরা শুধু আমাদের নির্বাচনের দায় বহন করব। দলগুলো সহযোগিতা না করলে আমরা সেখানে ব্যর্থ হয়ে যাব।
নির্বাচনে সরকার ক্ষমতায় থাকবে উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দল আর সরকার এক নয়। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগেরও সভানেত্রী। কিন্তু যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী, তখন তিনি সরকারপ্রধান, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নয়। এটি বুঝতে হবে। আমরা সরকারের সাহায্য চাইব। সরকার যদি সহায়তা না করে, তাহলে নির্বাচনের পরিণতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা না থাকলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, সব দলকে কার্যকরভাবে অংশ নিতে আমরা বারবার আহ্বান জানিয়ে যাব, তবে বাধ্য করতে পারব না। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব, পেশি শক্তির প্রয়োগ ও প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, একটি মাত্র দলের ৩০০ আসনেই জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সাংবিধানিকভাবে কোনো বাধা নেই। তবে ইতিহাস বলে সেক্ষেত্রে অচিরেই গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হবে। স্বৈরতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। গণতন্ত্রের আরাধ্য পুনরুদ্ধার দুরহ হয়ে পড়বে।
Share.

Leave A Reply