লোহাগাড়ার মানুষের কাছে ভ্রমণের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে চাম্বি লেক।এটি চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা গ্রামে অবস্থিত। শীতের সময়ে লেক’র রূপ-বৈচিত্র্য দেখার জন্য ঘুরে আসতে পারেন লেকে।
পাহাড়ের মাঝে আছে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপে অপূর্ব সুন্দর উপরে নীল আকাশ, চারদিকে শান্ত জলরাশি। নৌকা- স্পিট বোডে নিয়ে গোটা লেক চষে বেড়ানো ও নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য, এমনিতেই মন ভরে তুলবে। রয়েছে চোখ জুড়ানো পিকনিক স্পট।
এই শীতে চাম্বি লেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসীদের । এখানে যারা একবার এসেছেন প্রকৃতি তাদের বারবার আসতে বাধ্য করবে।
একই সাথে পাহাড় এবং পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত আপনার মনকে ভরিয়ে দিতে যথেষ্ট। লেকের পানির স্বচ্ছতা নিঃসন্দেহে মুগ্ধ করবে আপনাকে।
এ ব্যাপারে চাম্বি খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মাহাবুবর রহমান চৌধুরী জানান, শীতে ভ্রমণ পিপাসুদের চাহিদা পূরণ করতে লেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শীতের মৌসুম আসার পুর্বে চাম্বি লেকে দর্শানার্থীদের ভীড় জমতে দেখা যাচ্ছে।
দর্শনার্থীরা লেকের সৌন্দর্যের আকর্ষণে মুগ্ধ হচ্ছে। বলতে গেলে চাম্বি লেকে দর্শানার্থীদের মন কেড়ে নিচ্ছে।
কি কি আছে চাম্বি লেকে?
২ রাবার বোট, ৩ টি স্পিড বোট, দুইটা প্যাডেল বোট, পাহাড়ের টিলায় তিনটা গোল ঘর যা থেকে পুরো পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এক পলকে উপভোগ করা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন পশু-পাখির ভাস্কর্য। ছোট ছোট পাহাড়ী দ্বীপ গুলোতে ছবি তোলার সুন্দর ব্যবস্থা আছে, রাবার ড্যামের উপরের ব্রিজেও ভালো ছবি তোলার সুযোগ আছে। তবে এতদিন ফ্রী ঢুকতে দিলেও এখন কিন্তু টিকেট কেটে ঢুকতে হবে। টিকেটের মূল্য- ১৫ টাকা।
যেভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি শাহ সাহেব গেট আছে সেখানে নেমে পড়তে হবে। সেখান থেকে ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে ৭-৮ কিলোমিটার আগালে এবং তারপর কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনি পেয়ে যাবেন চাম্বি লেক।এছাড়াও লোহাগাড়া বটতলী ষ্টেশন থেকে ডিসি সড়ক দিয়েও যেতে পারবেন।