করোনা সংক্রন বাড়তে থাকায় ৫০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরের নগরের লালদিঘী পাড় এলাকায় অবস্থিত চসিকের পাবলিক লাইব্রেরি ভবনে খোলা আইসোলেশন সেন্টারটি উদ্বোধন করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সেলিম আকতার চৌধুরীসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘এখন মানুষের মধ্যে করোনাভীতি কেটে গেছে। আগে করোনা আক্রান্ত রোগীকে ফেলে চিকিৎসক, মা-বাবাকে ফেলে সন্তান চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন ডাক্তাররা করোনা চিকিৎসা জানতে পেরেছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারে আপনারা ২৪ ঘণ্টা সুচিকিৎসা পাবেন।’
এদিকে চসিকের কর্মকর্তারা জানান, সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গড়ে তোলা আইসোলেশন সেন্টারটিতে নিয়োজিত থাকবেন ১৩ চিকিৎসকসহ মোট ৩৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। আইসোলেশন সেন্টারের ৫০ বেডের মধ্যে ৩৫টি পুরুষ এবং ১৫টিতে নারীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
চসিকের কর্মকর্তারা বলছেন, রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য থাকবে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও। আক্রান্ত রোগীর অবস্থা জটিলতর হলে তা সারিয়ে তুলতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে বিশেষ পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজন অনুসারে আরও বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে চসিকের। আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা করোনা রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধপত্র-অক্সিজেন সার্পোট, খাবারসহ সব ধররের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করা হবে।
চসিকের আরবান হেলথ প্রকল্প পিএ-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরীকে কো-অর্ডিনেটর ও কাট্টলী ইপিডআই জোনের জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুমন তালুকদারকে সহকারী কো-অর্ডিনেটর করে ১১ চিকিৎসককে আইসোলেশন সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যন্য পদে রয়েছেন আটজন ফার্মাসিস্ট, চারজন প্যারামেডিক, তিনজন ওয়ার্ড মাস্টার, ছয়জন ওয়ার্ডবয়, একজন স্টোরকিপার ও একজন অফিস সহায়ক।