রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড হবে , ততবেশি আমাদের নতুন প্রজন্ম নেশা থেকে দূরে থাকবে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আমাদের আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে যেন আমরা লালন করি এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে যেনো আমরা প্রাধান্য দিই। আকাশ সংস্কৃতির যে হিং¯্র থাবা, এটি দ্বারা যেন আমরা প্রভাবিত না হই এবং বিজাতীয় সংষ্কৃতি যেন আমরা লালন না করি। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মুক্তমঞ্চে দুইদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এর আয়োজন করেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিষদ সদস্য আহমেদ ইকবাল হায়দার, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম জেলা কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আগে পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ছিলো। কিন্তু তা এখন আগের মতো নেই। এটি আবারও হওয়া প্রয়োজন। যিনি সাংস্কৃতিকমনা মানুষ তিনি অত্যন্ত কোমল প্রাণ হন, মানবিক হন এবং সাংস্কৃতিক মনা মানুষ কখনও নিষ্ঠুর হতে পারেন না এবং জঙ্গিবাদ-মৌলবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। এজন্য এগুলোর ব্যাপকতা অত্যন্ত প্রয়োজন। বরং আমাদের সংস্কৃতির দিক দিয়ে এবং সাহিত্যের দিক দিয়ে, ভাষার দিক দিয়ে পৃথিবীতে আমরা একটি উন্নত জাতি। আমাদের সংস্কৃতিকে অন্যরা অনুকরণ করবে সেটি হওয়া বাঞ্চনীয়। মৌলিক সংস্কৃতি, আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে লালন করার জন্য আমি অনুরোধ জানাবো।
আলোচনা শেষে বর্ণাঢ্য এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনমুগ্ধকর এক্রোবেটিক (সার্কাস) শো প্রদর্শনী করেন ঢাকার চৌকস এক্রোবেটিক দল। এছাড়া চট্টগ্রাম ও রাঙ্গুনিয়া শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।