আব্বাস হোসাইন আফতাব :
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. জাহেদ(৪৭) সড়কে গাড়ি চলাচল দেখে বের হয়েছেন। তিনি বিশেষ কাজে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে আতœীয়ের বাড়িতে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি স্টেশন অতিক্রম করলেও তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা প্রশাসনের কাউকে দেখেননি এবং কেউ তাঁকে আটকায়নি। জাহেদের মতো অনেকে সড়কে গাড়ী চলাচল দেখে বের হয়েছেন।সরকার ঘোষিত ঈদ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থদিনে রাঙ্গুনিয়ার সড়কগুলোতে বেড়েছে অটোরিক্সার চাপ। এছাড়া রিক্সা ও ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করতে দেখা গেছে। যদিও কঠোর লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্য গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর চৌমুহনী, থানা সদর, রোয়াজারহাট ও ইছাখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে প্রচুর সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। বেড়েছে মানুষের আনাগোনা, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মূল সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতেও মানুষের অবাধ চলাফেরা করতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বলছে, লোকজনকে বিধিনিষেধ মানাতে সড়কে রয়েছে তাঁরা।
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) রাজীব চৌধুরী বলেন, ” মানুষকে বিধিনিষেধ মানাতে প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে। আইন অমান্যকারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। ”
উলেখ্য, ঈদুল আজহা ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। আট দিন বিরতির পর ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।
কঠোর বিধিনিষেধেও কাপ্তাই সড়কে অটোরিক্সা চলাচল বেড়েছে
0
Share.