কর্ণফুলীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

0

উপজেলা প্রতিনিধি।

চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর জুলধা ইউনিয়নে ফরিদা বেগম (২৮) নামের এক নারীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।পুলিশ স্বামী নুরুল ইসলাম (৩২) কে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইয়াসির আরাফাত।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত ফরিদা বেগম এর বাড়ি বাশঁখালী উপজেলায়। তিনি কর্ণফুলীতে স্থানীয় এক গার্মেন্টসে কাজ করেন। স্বামী নুরুল ইসলাম এর বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বটতলীতে। পেশায় সিএনজি চালাক।

জুলধার সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য মো. শরীফ হোসেন জানায়, গত তিনমাস ধরে ফরিদা নুরুল ইসলাম দম্পতি জুলধা এলাকায় কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী।  আজ বিকালে স্বামী তার স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে শ্বাশুড়িকে খবর দেয় মেয়েকে নিয়ে যেতে। পরে পালিয়ে যায় স্বামী। খবর পেয়ে নিহত ফরিদা বেগমের মা এসে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। বাড়ির মালিক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেই বাসার মেঝেতে মৃত অবস্থায় ফরিদা বেগমকে দেখতে পান।

ঘটনায় পর পরই স্বামী বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত জায়গা থেকে স্বামী মোবাইল ফোনে শ্বাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করে স্ত্রীর অবস্থা জানতে চান। বিষয়টি পুলিশ শুনে পরক্ষণেই কৌশল নেন। স্ত্রী মূমুর্ষ অবস্থায় এখনও জীবিত আছে। জরুরী চিকিৎসার জন্য ঔষধ দরকার বলে স্বামীকে খবর দেন। তখন স্বামী টাকার জন্য জামতলা বাজারে আসতে বলে শ্বাশুড়িকে। কথা মতো স্বামী বাজারে আসলেই আগে থেকে উৎপেতে থাকা কর্ণফুলী থানার পুলিশ তাকে আটক করে।

জামতলা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো. নাছির উদ্দিন নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে এসি ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘নিহত ফরিদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  গলায় সন্দেহজনক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।  অভিযুক্ত স্বামী নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।’

Share.

Leave A Reply