- চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২১ বছর আগে সংঘটিত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
- রোববার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক এই দণ্ডাদেশ দেন। এ মামলায় চার জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন নিহত আমজাদ হোসেন।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইমতিয়াজ প্রকাশ ঠোঁটকাটা মানিক, সাতকানিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, তারেক, ফরোখ আহামদ, বশির আহমদ, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক এবং জসিম উদ্দিন। যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন ইদ্রিছ, আইয়ুব, মো. ইদ্রিস, হারুন ও তাহের।
- খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মোরশেদুল আলম, আবদুল মালেক, খায়ের আহাম্মদ ও মো. মোস্তাক। এ ছাড়া মামলার এক নম্বর আসামি লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতুর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকায়।
- রাষ্ট্র পক্ষের কৌশুলী এডভোকেট আইয়ুব খাঁন জানান, ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরিফে ওরশ চলছিল। ওই সময় দরবার শরিফের উত্তর গেট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রওশন আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
- তিনি বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর ১ জন আসামীকে বাদ দিয়ে ২০জনকে অভিযুক্ত করে এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয়। চলতি বছরের ১১ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ওই দিনই ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এ মামলায় ২০ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি ৯ জন পলাতক।
- বাদী পক্ষের আইনজীবী এসইউএম নুরুল ইসলাম বলেন, র্দীঘ প্রায় ২১ বছরের এ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২১জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, সেটাই হয়েছে।
- আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ও মামলার বাদী সৈয়দা রওশন আক্তার বলেন, বিচার চেয়ে ২১ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট।
- আমজাদ হোসেন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার কামাল বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়নের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন। তিনি ইউনিয়নের অপরাধ নির্মূল ও সন্ত্রাস দমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার ফলে দুর্বৃত্তদের টার্গেটে পরিণত হন।
চট্টগ্রামে ২১ বছর আগের হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
0
Share.
