তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের প্রার্থী রেজাউল করিম ভোট কম পেয়েছেন। যেখানে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট দেখানো হচ্ছে সেখানে তিনি খুব বেশি হলে ২০-২৫ হাজার ভোট পেতে পারেন। সাড়ে তিন লাখ ভোট তাকে যোগ করে দেওয়া হয়েছে। কাজেই এই যে ভোট ডাকাতি করে আমাদেরকে জোর করে হারিয়ে দিয়েছে, আমরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলায় যাবো।
ডা. শাহাদাত অভিযোগ করেন, ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪-৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দিন শেষে সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম। ৭ দিন সময়ও দিয়েছি। কিন্তু ১০ দিন পরেও এই তথ্য কমিশন দিতে পারেনি। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেখানে মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। যদি ১০টি বুথের ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি থাকে তাহলে সবগুলো ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দিতে হবে। এর আগে বোয়ালখালী উপ-নির্বাচনেও এ তথ্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন কমিশন বলেছে এ তথ্য এখান থেকে দেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশ এখন মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। মানুষ ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার সব হারিয়ে ফেলেছে। এখন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন হচ্ছে প্রশাসন যন্ত্রের সঙ্গে।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী এসেছিলেন। আমার স্বাক্ষরিত ৭৩৫ কেন্দ্রের ফলাফল সরবরাহ করেছি। কিন্তু ইভিএম’র প্রিন্টেড কপির বিষয়ে তিনি তথ্য চেয়েছেন। বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই। তথ্যগুলো ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সংরক্ষণ করে। নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথভাবে আবেদন করলে কমিশন সেটা বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।