এটা তার প্রকৃত পেশা নয়, তার পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে অল্প টাকা লাভে তিনি এবার করোনার ঝুঁকি নিয়ে সবার হাতে তুলে দিচ্ছেন লাল-সবুজের পতাকা।
নাছিম মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ৪নং নিখলি ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের মুখলেস শিকদারের ছেলে।
করোনাকালেও পতাকা বিক্রির কাজটাকে কেন বেছে নিলেন-এমনটা জানতে চাইলে মঙ্গলবার মোহাম্মদ নাছিম বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে লাল-সবুজের এ পতাকা। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে আমি পতাকা বিক্রি করি। এতে আমি খুব আনন্দ পাই, পরিবারও চলে।
চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সামনে তালুকদার লাইব্রেরিতে বসে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ভ্যানচালক বাবার পক্ষে তাদের ৬ সদস্যের পরিবার চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হয়। এমনটা দেখে পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে রাজমিস্ত্রীর পেশা বেছে নিলেও জাতীয় দিবসগুলোতে তিনি জাতীয় পতাকা বিক্রি করে অর্জিত স্বল্প আয় দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালান।
এ সময় নাছিম জানান, আলাদা টিম করে ভাগ ভাগ হয়ে ফেরি করে পতাকা বিক্রি করতে দলবেঁধে বন্ধুদের সঙ্গে চলে যান বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরে।
নগরীর মুরাদপুর এলাকার একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। প্রতিদিন সকালে বের হয়ে রাত অবধি ফের হোটেলে ফেরা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজ ও দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন।
এক্ষেত্রে তিনি বড় পতাকা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৭০-৯০ টাকা, ছোট পতাকা ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং হাত পতাকা ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করেন