খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দলিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতু দিয়ে দশ বছর পার করেছে বড়ঝালা, মোহাম্মদপুর, রসলপুর, আখবাড়ি, তৈইকাতাং, দলধলীসহ ছয় গ্রামের মানুষ। ঝুলন্ত সেতু থেকে মানুষ পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতুটি হলে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায় গ্রামের মানুষ। নেই রাস্তাও।
সরেজমিনে আজ গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে ঝুলন্ত সেতুটি। দলিয়া খালের পারে সেতুর কুঠি থেকে মাটি ধসে পড়ে যাচ্ছে। দলিয়া খাল দিয়ে মালামাল ও বহন করে নিয়ে যায়।এ সময় বলিপাড়ার স্থানীয় লেন্দু চাকমা বলেন, অন্য গ্রাম থেকে মানুষ পাড়ায় বেড়াতে আসলে ঝুলন্ত ব্রীজ দিয়ে পার হতে পারে না। পার হতে না পারায় ঘুরে চলে যায় অনেকে। ছোট ছোট বাচ্ছারা এটি দিয়ে স্কুলে যায়।আখবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সমিতা চাকমা ও লিপি চাকমা বলেন, গাড়ি চলাচল করে না। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। দুর্গম এলাকা ঘুরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আমরা মালামাল বিক্রি করতে বাজার-ঘাটে নিয়ে যেতে পারি না। আমাদের ছেলে-মেয়েদের ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতু দিয়ে স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়।বড়ঝালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা বেগম বলেন, দলিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতু দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। ঝুলন্ত ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ তাই সময়মত স্কুলে আসতে পারি না। বিকল্প পথ দিয়ে আসতে হয়। স্কুলের আসবাপত্র আনতে কষ্ট হয়। স্কুলে খাবার নিয়ে আসতে পারি না। যাতায়াতের সমস্যা। প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। একটি সেতু না হলে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে না।মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান খোকন বলেন, এখানে পাহাড়ি-বাঙালি দলিয়া খালের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতু দিয়ে পারাপার করে পাঁচ-সাতটি গ্রামের মানুষ। স্থায়ী সেতু প্রয়োজন আছে। এই বিষয় নিয়ে এমপি সুপারিশ নিয়ে স্থানীয় মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার যদি অনুমোদন দেন জনগণ উপকৃত হবে।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ শামছুল হক বলেন, উপজেলা ও পৌরসভা যৌথ ভাবে করার চেষ্টা করছি। দলিয়া খালের ওপরে তিন-চারটি গ্রাম আছে মাটিরাঙ্গার সাথে বিছিন্ন। বর্ষাকাল আসছে পথ বন্ধ হয়ে যায়। এটা নিয়ে মাননীয় এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় বিলটি হওয়ার জন্য আমরা এলজিডির হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো বরাদ্দা হয়নি। আশা করি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচনের পর আমরা ঢাকায় যাব এবং মাটিরাঙ্গা উন্নয়নে এক নম্বরে আছে এই ব্রীজ।