শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ইসরাত জাহান রুম্পা (১৮) কে তার স্বামী ও শশুর বাড়ীর লোকজন তাকে কমফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইসরাত জাহান রুম্পার বড় বোন নুসরাত জাহান মুক্তা বলেন, তার দেবর নজরুল ইসলাম চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জোর করে তার ছোট বোন ইসরাত জাহান রুম্পাকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় উভয় পরিবারের কেউ রাজী ছিলো না।
পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম ইসরাত জাহানকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে। নজরুল ইসলাম বেকার থাকায় আমার বাবা ১৩ লাখ টাকা দিয়ে তাকে একটি হাইস গাড়ী কিনে দেয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে আমার বোনকে মারধর করতো।
সর্বশেষ গতকাল রাতেও নজরুল ও আমার শাশুড়ী জ্যোৎস্না আরা বেগম, ননদ তাসলিমা আক্তার আমার বোনের সাথে ঝগড়া করে। শুক্রবার সকালে আমার শাশুড়ী ও ননদ সহ আমরা একটি বিয়ের দাওয়াতে যাই।
হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার নিথর দেহ পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে তার স্বামী মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। এবিষয়ে তার স্বামী নজরুল ইসলাম, শাশুড়ী জ্যোৎস্না আরা বেগম, ননদ তাসলিমা আক্তারকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কান্তি দে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে