আব্বাস হোসাইন আফতাব
ট্রে ’তে করে নিয়ে আসা হচ্ছে ধানের চারা। হাতে নয়, যন্ত্র দিয়ে এসব চারা রোপন করা হচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখতে চট্টগ্রামের শস্য ভান্ডার নামে পরিচিত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে ভিড় করছে মানুষ।
গতকাল সকালের দিকে রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলের মরিয়মনগর কাটাখালি অংশে গিয়ে দেখা যায় চষা জমিতে দুটি রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার দিয়ে রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা। যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপন দেখতে বিলের আশে পাশে প্রচুর মানুষের ভিড়।
কথা হয় কৃষক সিরাজুল ইসলামের সাথে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,“ যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপন করা আমাদের জন্য একেবারে নতুন। যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপন করা একটু ভেজাল মনে হলেও এই পদ্ধতিতে চারা রোপন সময় ও খরচ দুটোই বাচবে। যন্ত্র দিয়ে চারা রোপন দেখতে বিলে অনেক মানুষ ভিড় করছে।”
কথা হয় ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার শীলের সাথে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন,“ একটি রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনের মাধ্যমে ঘন্টায় ৪০ শতক ধানের চারা রোপন করা যাবে। যা চারজন মানুষ করতে একদিন সময় লাগবে। দুটি রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারে ৫০ একর জমির চারা রোপনে সময় লাগবে এক সপ্তাহ। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের সময় ও খরচ দুটি বেচে যাবে। ”
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, “কৃষকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধান রোপন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ৫০ একর জমিতে ধানের চারা রোপন করা হবে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৫০০ টি ট্রে’তে হাইব্রীড বোরো ধানের বীজতলা করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে বীজ, চারা তৈরির ট্রে, রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে চারা রোপন, ধান পাকার পর কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার যন্ত্র দিয়ে কর্তন মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করে দেয়া হবে। কৃষকদের এমন সহযোগিতায় খুশি তাঁরা।”
রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারে ধানের চারা রোপন করা যাবে ঘন্টায় ৪০ শতক
0
Share.