পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে রাউজানের শাহানা আকতার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় দেনাদার ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) নিহতের বাবা হাছি সিকদার বাদি হয়ে বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তার স্বামী সাইদুল আলম ও সুজন বড়ুয়া নামে ওই দেনাদারকে আসামি করে রাঙামাটির কাউখালি থানায় মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার কাউখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মহিবুল ইসলামবিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত শাহানাকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধারের সময় সুজন বড়ুয়ার নাম বলেছিল। সুজনকে আটকের পর তার স্বামী জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। নিহতের বাবা হাছি মিয়া সিকদার বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার বাদি নিহতের বাবা হাছি মিয়া সিকদার জানান, তার মেয়ের সঙ্গে স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। পাশাপাশি সুজন বড়ুয়ার কাছে ৩০ হাজার টাকা পেত শাহানা। এনজিও সংস্থা থেকে কিস্তি নিয়ে সুজন বড়ুয়াকে দিলেও সে টাকা গুলো ফেরত দেয়নি। এনিয়ে শাহানার সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। তার স্বামী এবং দেনাদার সুজন বড়ুয়া একজন অন্যজনকে দোষারোপ করছে, তাই দুইজনের নাম উল্লেখ করে তিনি মামলা করেছেন।
কাউখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ বলেন, আমরা সুজন বড়ুয়া ও তার স্বামীকে আটক করেছি। মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত চলছে, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, কেন হত্যা করেছে সব রহস্য উদঘটনের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত গত সোমবার (০৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাঙামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার মনাইর টেকনামক এলাকার পাহাড় থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় রাউজানের গৃহবধূ শাহানা আকতারের।নিহত শাহানা আকতার রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ছত্রপাড়া গ্রামের মান্নান উল্লাহ সিকদার বাড়ির হাছি মিয়া সিকদারের মেয়ে ও রাউজান সদর ইউনিয়নের নাতোয়ান বাগিছা এলাকার শমসেন নগরের গুচ্ছ গ্রামের মো. সাঈদুল আলমের স্ত্রী। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মায়নাতন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করলে মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) আসরের নামাজের পর রাউজান পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডস্থ বাপের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।