রাঙ্গুনিয়ায় ভোট কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্ঠা, পুলিশের ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি

0

নিজস্ব সংবাদদাতা ■ রাঙ্গুনিয়া
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ভোট কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্ঠা, প্রার্থী-সমর্থকদের মারধর ও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা নিয়ে রোববার (২৮ নভেম্বর) ১৩ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি সদস্যদের কেন্দ্র করে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও চেয়ারম্যান প্রার্থী কিংবা সমর্থকদের কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
দিনভর সরেজমিন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী কেন্দ্রে সকাল ১১ টার দিকে ভোট গ্রহন চলাকালে কেন্দ্রের বাইরে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী রাশেদ আলী ও হাবীবুর রহমানের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ভোটাররা আতংকিত হয়ে পড়লে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। একই সময়ে একই ইউনিয়নের চন্দ্রঘোনা তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে মারধরের ঘটনায় ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. হারুন ও আবুল হকের সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় প্রার্থী আবুল হকের ছেলে মো. আরাফাত (২৫) আহত হয়। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড রাজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী আজিম উদ্দিন ও ইউনুস মিয়া লেদ’র কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। এই সময় এক প্রার্থীর লোকজন বুথের টেবিলে থাকা ব্যালট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করলে ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের সাথে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ দশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে প্রার্থীর লোকজন পালিয়ে যায়।
ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, ‘ গন্ডগোলের কারনে ৩০ মিনিট ভোট গ্রহন বন্ধ ছিল।’ তবে ঘটনাটি কেন কি কারনে হয়েছে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিকাল ৩ টার দিকে পারুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন বাবু ও তাঁর এক সমর্থককে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর লোকজন মারধর করেন। তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে লালানগর ও কোদালা ইউনিয়নে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. মাহবুব মিল্কী জানান, কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। দিনভর বিভিন্ন কেন্দ্রে স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন।
উল্লেখ্য তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বিনাভোটে ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল। বাকী ৫ টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেতাগী, হোছনাবাদ, লালানগর, দক্ষিণ রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন করা হয়।

Share.

Leave A Reply