লামা সংবাদদাতা
লামা উপজেলায় দুই দিনের ব্যবধানে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেওলারচর এলাকায় বাড়ির পাশে কুয়ার পানিতে ডুবে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) নামে এক শিশু মারা যায়। সে মেওলারচর এলাকায় রহমত আলীর মেয়ে।
অপরদিকে শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১টায় লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লামামুখ বাজারস্থ মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে পূজা কর্মকার (১০) নামে আরো এক শিশু নিখোঁজ হয়। পূজা কর্মকার লামামুখ বাজারের বিমল কর্মকার এর মেয়ে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি টিম ও স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজির করে ৭ ঘন্টা পরে শনিবার রাত ৮টায় মাতামুহুরী নদী হতে তার লাশ উদ্ধার করে।
পরপর দুইটি শিশু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ও লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন।
কুয়ার পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস এর বাবা রহমত আলী বলেন, ‘‘আমি বাড়ির পাশের জমিতে ধান কাটতে যাই। মেয়েটি আমার সাথে ধান কাটা দেখতে জমিতে যায়। ধান ক্ষেতের পাশে ছোট একটি পানির কুয়া ছিল। আমাদের অগোচরে কখন যে মেয়েটি ওখানে পড়ে যায় খেয়াল করতে পারিনি। কিছুক্ষণ পরে আমার স্ত্রী খুঁজতে এলে কুয়ায় তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত পূজা কর্মকারের বাবা বিমল কর্মকার জানায়, শনিবার দুপুরে মাতামুহুরী নদীতে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে সে নদীর পানিতে ডুব দিয়ে আর উঠে নাই। আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজেও পূজাকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধার করতে না পেরে লামা থানাকে অবহিত করে।
খবর পেয়ে লামা থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পূজাকে পায়নি। পরে চট্টগ্রাম হতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমকে আনা হয়। অবশেষে রাত ৮টায় পূজার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম।
লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইনচার্জ মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, ‘‘আমরা ও স্থানীয়রা খোঁজে না পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি টিম আনা হয়। তারা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে পূজা কর্মকারের লাশ উদ্ধার করি।’’
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান দুই শিশু মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে নিহতদের লাশ পারিবারিক ভাবে দাফন কাপন ও শেষ কার্য্য সম্পাদনের জন্য বলা হয়েছে।’’