এসএম রশিদুল হক বলেন, সারাদেশ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করতে হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলাম তাণ্ডব চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত, সুন্দরভাবে বিষয়টা মোকাবিলা করেছে। এ সহিসংতার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জাকারিয়া নোমান ফয়জীর হাটহাজারীতে যেসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে, বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ, থানা ভাঙচুর, ডাকবাংলো ভাঙচুর, ভূমি অফিসে আগুন দেওয়াসহ প্রতিটিতেই তার সম্পৃক্ততার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। এসব ঘটনায় যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল, তাদের মধ্যে একজন জাকারিয়া নোমান ফয়জী। তাদের ইন্ধনে, তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থের জোগানে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে, প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জাকারিয়া নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
অর্থের জোগানদাতা কারও পরিচয় পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, অর্থের জোগানদাতা কারা সেটা আমরা তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বের করার চেষ্টা করব। জাকারিয়া নোমান ফয়জী হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজত কর্তৃক যেসব সহিংসতা সম্পৃক্ত হয়েছে, কমবেশি প্রতিটি ঘটনায় কোথাও কোথাও তার সম্পৃক্ততা ছিল। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত তথ্য আমরা পাব।
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী সহিংসতার সঙ্গে জড়িত কি না এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলবে, প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তাণ্ডবের আগে গোয়েন্দা তথ্য এবং পুলিশের ভূমিকার কোনো ঘাটতি ছিল কি না জানতে চাইলে এসএম রশিদুল হক বলেন, পুলিশের কোনো ব্যর্থতা ছিল না। ঘটনা যা হয়েছে, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই মোকাবিলা করেছে এবং সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছে।
বুধবার (৫ মে) বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে বৃহস্পতিবার (৬ মে) আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গত ২৬-২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৩০ মার্চ রাতে থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। হাটহাজারী থানায় ভূমি অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া হাটহাজারী থানায় হামলা ও ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ, স্থানীয় অস্ত্র ব্যবহার এবং উপজেলা ডাকবাংলো ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।