স্টাফ করেসপন্ডেন্ট |সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।সৌদি আরবে রমজান মাস ৩০ দিনের হচ্ছে।ফলে বৃহস্পতিবার শুরু হবে শাওয়াল মাস। এদিন মধ্যপ্রাচ্যে রোজার ঈদ উদযাপন হবে। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ হয়। সেই হিসেবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে শুক্রবার (১৪ মে) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন মুসলমানরা।তবে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই একদিন আগে থেকে রোজা রাখেন ঈদ উদযাপন করেন একদিন আগেই। আজ বুধবার (১২ মে) তাদের ৩০টি রোজা পূর্ণ হচ্ছে।জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রাম ও কক্সবাজার-বান্দরবানের কিছু অনুসারী বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবেন।
তবে বিগত বছরগুলোতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দরবার শরীফের মুরিদরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে আসলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাইরের মুরিদদের নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বলা হয়েছে এবং সংক্রমণ এড়াতে তাদেরকে দরবারে আসতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানান দরবার শরীফের মুরিদ বজলুল করিম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দুইশ বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।