রাঙ্গুনিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর অচেতন অবস্থায় গরু ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি । নিহত ব্যক্তির নাম মো. আইয়ুব। তাঁর বাড়ি উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সাবেক রাঙ্গুনিয়া গ্রামে । তাঁর লাশ ময়না তদন্ত শেষে রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত আইয়ুবের পরিবারের দাবি তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মো. আইয়ুবের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, তাঁর স্বামীকে গত মাসের ১৯ তারিখ রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা হাশেম খাল এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। চিকিৎসা করানোর ছয়দিন পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। এসময় তাঁর সাথে থাকা প্রায় ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। এই ঘটনায় আদালতে আইয়ুব বাদী হয়ে তার ব্যবসায়ীক সহকর্মী দিলীপ ঘোষ (৫২) ও তার স্ত্রী সুনিতা ঘোষকে (৪৭) অভিযুক্ত করে মামলা করেছিলেন। মামলা সংক্রান্ত আইনী সহায়তা নিতে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া থানায় যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন আইয়ুব। এর মধ্যে রাত ৮ টা পর্যন্ত পরিবারের লোকজনের সাথে তার মুঠোফোনে কথা হয়। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর মুঠেফোন বন্ধ পাওয়া যায়। থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানিয়েছে, আইয়ুব সন্ধ্যা ৭টার দিকে থানা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়া গ্রাম থেকে তার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আইয়ুবের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে যারা আগে অপহরণ করেছিল তারা এবারও তার স্বামীকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি থানায় হত্যা মামলা করবেন জানিয়েছেন।
জানতে চাইরে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী, বলেন, “ নেশা জাতীয় কিংবা চেতনা নাশক কোনো কিছু সেবনের কারনে তাঁর মৃত্যু হতে পারে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখছি। “
নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীকে অচেতন উদ্ধার, পরে হাসপাতালে মৃত্যু
0
Share.