নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়ন আওয়ামী-যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র সরফভাটা। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এই ইউনিয়নে সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। নেতৃত্ব শূন্যতায় দলীয় কার্যক্রমেও ছিল ভাটার টান। তবে সম্মেলনের ঘোষণায় আবারও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সরফভাটা যুবলীগে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, আগামী ১৫ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ অক্টোবর দলীয় বর্ধিত সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সরফভাটা যুবলীগে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে পদ প্রত্যাশীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। পিছিয়ে নেই সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থী ও প্রার্থী সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণা। আর এবারের যুবলীগের কমিটিতে বর্তমান সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও উপজেলা যুবলীগের পদদারী বেশ কয়েকজন এবং সাবেক ছাত্রলীগনেতাদের দৌড়ঝাঁপও চোখে পড়ার মতো। এ কারণে যুবলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রতিদিনই চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে কেউ কেউ আবার চালাচ্ছেন জোর লবিং।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. সিরাজ জানান, ইতিমধ্যেই সভাপতি পদে ১১ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন প্রার্থী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন সভাপতি পদে মঈন উদ্দিন মুহির, মোহাম্মদ মাহবুব আলম সিকদার, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম সকু, মোহাম্মদ হাসান, মো. জালাল উদ্দিন, মো. ইলয়াছ, সোয়েবুল ইসলাম, মো. হোসেন, মো. ওবাইদুল্লাহ, মো. আবুল বয়ান। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা হলেন আবু তালেব সানি, মো. জামাল উদ্দিন, মো. কামাল উদ্দিন, মো. শোয়েব, মো. শাকেরুল ইসলাম সাগর, মোজাহেরুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন রুবেল, মো. নেজাম উদ্দিন তালুকদার, মো. ফারুক।
যুগ্ম আহবায়ক হাসান মুরাদ জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নতুন সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে।