রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা ইউনুছিয়া আজিজুল উলুম কওমী মাদরাসা খোলা রেখে পাঠদান করায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে ইউএনও। এই সময় মাদরাসার বিভিন্ন কক্ষে ক্লাসে থাকা শতাধিক শিক্ষার্থীকে মাদরাসা থেকে বাড়ি চলে যেতে নির্দেশ দেন। করোনাকালীন সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় বুধবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মাদরাসায় অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান
নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক মাদরাসার ৫ ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের অন্য এক উপজেলায়। এক সপ্তাহ আগে তাঁকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে আসেন মাদরাসার শিক্ষক। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এক রুমে ক্লাস, খাবার খাওয়া ও ঘুমুতে হচ্ছে। এক রুমে ৫০ থেকে ৬০ জন ছেলে রুমে বন্ধ রেখে ক্লাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চাপের কারনে তাঁরা কাউকে বলতেও পারছেন না ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ দিন ধরে টেকনাফ, চকরিয়া, বাঁশখালী, পটিয়া, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক শিক্ষার্থীকে ঘর থেকে ডেকে এনে রুম বন্ধ রেখে ক্লাস করাতে বাধ্য করছেন।
বক্তব্য নিতে মাদ্রাসা প্রধানকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় দায়িত্বরত মো. আবদুল্লাহ নামে এক শিক্ষককে মাদ্রাসা খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ মাদ্রাসায় ভর্তি হতে তাঁরা এসেছেন, চলে যাবেন আবার। ”
ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাদরাসা খোলা রেখে ক্লাস নেয়ার কারনে মাদরাসা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি যেতে বলা হয়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন খুলবে তখন মাদরাসা খুলতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন- আব্বাস হোসাইন আফতাব
রাঙ্গুনিয়ায় কওমী মাদ্রাসা খোলা রেখে পাঠদান, বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও
0
Share.