রাঙ্গুনিয়ায় ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম

0

নিজস্ব সংবাদদাতা ■ রাঙ্গুনিয়া
রাঙ্গুনিয়ায় নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিনিয়র অনেক ব্যক্তিকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব না দিয়ে জুনিয়র অনেক ব্যাক্তিকে ওই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন স্কুল শিক্ষক। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ গ্রহন করেও প্রশিক্ষন থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ করে অন্যজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিযোগ উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষক আলমগীরের। এমনকি যে ভোট কেন্দ্রে স্বামী ইউপি সদস্য প্রার্থী সেই কেন্দ্রে নির্বাচন কমকর্তা স্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রার্থীদের চাপের মুখে পরে ওই কর্মকর্তাকে শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোট গ্রহন করা হবে। এসব ইউনিয়নের ১১৮ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অনেক ভুক্তভোগী ও বাদ পড়া ব্যক্তিরা।
উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি প্রিসাইডিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কিন্তু পরে আমাকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। এটা আমার জন্য মানহানিকর বিষয়।”
নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক রাঙ্গুনিয়া পৌর এলাকার এক প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, “ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বাদ দিয়ে অনেক সহকারি শিক্ষককে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়। যা সিনিয়র শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।”
উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী শওকত আলম তালুকদার নামে এক প্রার্থীর স্ত্রীকে ওই কেন্দ্রে পোলিং কমকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার তাহমিনা আকতার নামে ওই নারীকে শওকত আলমের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের চাপের মুখে ভোট গ্রহন কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
বেতাগী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নুরুল আজম বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে জেতাতে প্রার্থীর স্ত্রীকে ওই কেন্দ্রে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে আমরা তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর স্ত্রীকে ওই কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিতে অভিযোগ করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পোলিং অফিসার তাহমিনা আকতারকে সরিয়ে নেয়া হয়।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ আলম বলেন, “ প্রার্থীরা অভিযোগ করায় ওই কেন্দ্রের পোলিং অফিসারকে সরিয়ে অন্য কেন্দ্রে দায়িত্ব দেয়া হয়। তাছাড়া নির্বাচনের বেশি সংখ্যক ভোট গ্রহন কর্মকর্তার তালিকা তৈরি ও বন্টন হয়েছে, স্বাভাবিকভাবে এক আধটু ভূল হতেই পারে।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন, “ নির্বাচনের ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করবো। ” Report- Abbas Hossain Aftab

Share.

Leave A Reply