নিজস্ব সংবাদদাতা ■ রাঙ্গুনিয়া
রাঙ্গুনিয়ায় ভোট কারচুপির অভিযোগে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন ৮ ইউপি সদস্য প্রার্থী। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই অভিযোগ করেন তারা। প্রার্থীরা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযোগকারীরা হলেন পোমরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আহমদ কবির ও একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শফিউল আলম ,বেতাগী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, জানে আলম, মো. হাছান, মো. আহমদ ছৈয়দ ও মো. সুলতান।
ইউপি সদস্য প্রার্থী আহমদ কবির বলেন, “আমার ওয়ার্ডে মোট ভোট গ্রহন হয় ১৫৬৭ টি। ভোট গণনার পর সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ১২২ টি ব্যালট ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ৯৩ টি ব্যালটের হিসাব মিলেনি। আমার নির্বাচনী প্রতিনিধি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট পুনরায় গুনতে বললেও করেননি এবং ব্যালটের হিসাব না দিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান। ভোট পুনঃগণনা করা প্রয়োজন। ”
পোমরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. শফিউল আলম বলেন, “ আমার কেন্দ্রে ১৬৩৭ টি ভোট গ্রহন হয়। এখানে ভোটের দিন কারচুপি হয়। কেন্দ্রের বাইরে পাওয়া যায় ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপার নিয়ে গড়মিল দেখা গেলেও আমার নির্বাচনী প্রতিনিধি বিষয়টি দেখার জন্য বললেও কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কোনো কথা শুনেন নি। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উল্টাপাল্টা হিসাব দিয়ে কেন্দ্র থেকে চলে যান। কেন্দ্রের বাইরে দুটি ব্যালট যেহেতু পাওয়া গেছে , তাহলে আরো ব্যালট থাকতে পারে । ভোট আবার গণনার দাবি জানাচ্ছি। ”
পোমরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জানে আলম বলেন, “ আমার ওয়ার্ডের যাকে বিজয়ী দেখানো হয়েছে, ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত এক সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তাঁর আতœীয় হয়। ভোট গ্রহন শেষে প্রার্থীদের সব এজেন্টকে কিছুক্ষনের জন্য কক্ষ থেকে বের করে পরে ডাকা হয়। বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। ব্যালট আবার গুনতে হবে।”
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পোমরা বেতাগী ইউনিয়নের রিটার্ণিং কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ আলম বলেন, “ সবার অভিযোগ পেয়েছি। এখন আমাদের কিছু করণীয় নেই। গেজেট হলে অভিযোগকারী প্রার্থীরা মামলা করতে পারবেন।’ Report – Abbas Hossain aftab
রাঙ্গুনিয়ায় ভোট পুনরায় গণনার দাবি ৮ প্রার্থীর
0
Share.