প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলাতে আমরা ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি, সঙ্গে প্রণোদনাতো ছিলোই। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা শুরু হলে আমরা অগ্রিম টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছি। ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ শুনেছি। এখনতো ভ্যাকসিন এসেছে। ভ্যাকসিন নিজেই সেসবের উত্তর দিয়েছে। তাদের মুখে থাপ্পড় পড়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর, জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১) এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব শেষে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ক্ষমতায় থাকার জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। আগে বাংলাদেশ ভিক্ষার ঝুলি নিয়েই চলতো। করোনায় অনেক দেশ অনেক কিছু কাটছাঁট করেছে। আমরা তা করিনি।
তিনি যোগ করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপিতে বাংলাদেশই এক নাম্বারে আছে। ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ ভূমিহীন থাকবে না, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দারিদ্রতা দূর করতে একটা ঠিকানা থাকতে হয়। ঘরই আয়ের সুযোগ করে দেয়। উন্নয়নের কাজ আমরা ডিজিটালি করে যেতে পারছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ভালো কাজ হয়েছে যে, রেজাল্টটা দেওয়া হয়েছে। এখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। এখন অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে করোনাভাইরাস। আরো নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন কাজ পায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। মেডিক্যাল সায়েন্সে আরো লোক দরকার।
দেশে নতুন নতুন প্লেন কেনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতগুলো প্লেন কিনলাম কিন্তু করোনার জন্য চালাতে পারলাম না। আগে প্লেনের ঝড়ঝড়ে অবস্থা ছিলো, পানি পড়তো, এন্টারটেইনমেন্টের কোনো সুযোগ ছিলো না। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা বিএনপির জন্মগত চরিত্র।
সারাবিশ্ব থেকে সম্পূর্ণভাবে করোনাভাইরাস না যাওয়া পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পড়ে থাকতে হবে ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মাসেতু নিয়ে যারা কথা বলেছে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেতু না থাকলে তো নৌপথেই যেতে হবে। তখন তো নৌকাতেই উঠতে হবে। তাই জোড়াতালি দিয়ে বানানো পদ্মাসেতুতে না উঠলে সমাধান কী? অবশ্য আমাদের নৌকা অনেক বড়। নৌকায় সবাইকেই নেবো, তবে বেছে নেবো কেউ যেন সেটা ফুটা না করে।