বিএনপি’র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাশত করা হবে না : সেতুমন্ত্রী

0

বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোনো ভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিএনপি’র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এই মানবিক সংকটের ভিতরেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।’

সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হঠাৎ নাশকতা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারে নাই, তাদেরকে তাদের নীলনকশা অনুযায়ী চলতে দিতে হবে? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দিতে হবে?’
তিনি বলেন, ‘তাদের এই ধরনের সন্ত্রাসী চরিত্র নাশকতামূলক কর্মকান্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। নিরীহ মানুষের জীবন সম্পদ হানির মাধ্যমে যারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাবে এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং রাজনীতিতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের উপর জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল তাদেরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখনো বিএনপি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক নিয়ম কানুন বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। গতকালের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ -১ আসনের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, প্রচারণাও চালাবে কিন্তু নির্বাচনের সময় এজেন্ট দেবে না। তাদের কৌশল নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। বিএনপি জানে জনগণের ভোটে তারা জিততে পারবে না। এ উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে পুরনো আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। আগে যারা আগুন সন্ত্রাস চালাতো তারাই আবার আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন,ভোট গণনা শেষে জণগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হলে বিএনপি নেতারা বলে সরকার কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে জিতলে বলে আরো বেশি ভোটে জিততাম আর হারলে বলে সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে? এই হচ্ছে তাদের অবস্থা। যে কোন নির্বাচন এলেই বিএনপি হইচই করে মাঠ গরম করে অথচ ভোটের দিন তাদের আর মাঠে দেখা যায় না।
কুমিল্লা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে তারা জিতল, তারপর বলল যে আরো বেশি ভোটে জিততাম যদি সরকারি দল কারচুপি না করত। সিলেটের বেলাতেও একই বক্তব্য আরো বেশি ভোটে জিততাম? তারা জিতলে বলে আরো বেশিভোটে জিততাম আর হারলে তো সরকার হারিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন হারিয়ে দিয়েছে? এই হচ্ছে অবস্থা?
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও কারচুপি হয়েছে একটা উদাহরণ দেন? এই নির্জলা মিথ্যাচারের রাজনীতি অপরাজনীতি কবে তারা পরিত্যাগ করবে? আর যতদিন তারা করবে না ততদিন তারা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে আরো বেশি বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা-১৮ আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাবিব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.

Leave A Reply