সকল বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টিউশন ফি ছাড়া বাড়তি সকল ফি ফেরত দিতে নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর
এ নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন এমপিওভূক্ত ও নন এমপিওভূক্ত সকল বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ(এম,পি,ও ভুক্ত ও এম,পি,ও বিহীন) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি গ্রহণ করবে। কিন্তু এ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি গ্রহণ করবে না বা করা হলে তা ফেরত দেবে অথবা তা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করবে।
এছাড়া অন্য কোনো ফি যদি অব্যায়িত থাকে তা একইভাবে ফেরত দেবে বা টিউশন ফি‘র সঙ্গে সমন্বয় করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ‘তবে যদি কোন অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পতিত হন, তাহলে তার সন্তানের টিউশন ফি’র বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন। এখানে উল্লেখ্য, কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যহত না হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে যত্নশীল হতে হবে।’
এছাড়া ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন কোনো ফি যেমন টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন- গ্রহণ করবে না যা ঐ নির্দিষ্ট খাতে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করতে পারবে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় পূর্বের ন্যায় সকল ধরনের যৌক্তিক ফি গ্রহণ করা যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।