এম এ হোসাইন : ব্যবসায়ী এস এম রাশেদ শখের বশে মাছ চাষ শুরু করেছেন। ধ্যান মন প্রতিক্ষণ এখন মাছের পেছনে ছুটে চলা। মাত্র ৪ বছরে তেমন বেশি আয় না হলেও এখন মৎস্য চাষে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই যুবক। অল্প সময়ে মাছ চাষ শুরু করে তাঁর দেখাদেখিতে অনেকেই মাছ চাষ শুরু করেছেন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে রাশেদের বাড়ি। বাড়ির অদূরে পাহাড়ী এলাকায় তিনি মৎস্য প্রজেক্ট শুরু করেন। মৎস্য প্রজেক্টের আশেপাশে তিনি লাগিয়েছেন পেঁেপসহ বিভিন্ন ফলদ ছাড়া। মাছ বিক্রির পাশাপাশি তিনি পেঁপে বিক্রি করে বাড়তি আয় করেছেন। গত ৪ বছরে মাছ ও ফলদ বাগান করে ব্যয় বাদে তাঁর ৮ লাখ টাকা আয় হয়। এখন স্বপ্ন দেখছেন আরো বাড়তি আয়ের।
সম্প্রতি তাঁর প্রজেক্টে গেলে কথা হয় তাঁর সাথে। মৎস্য খামারী রাশেদ বলেন, “ ব্যবসার লাভ থেকে মূলত তাঁর মৎস্য খামার শুরু। জায়গা কেনাসহ খামারে ইতিমধ্যে তিনি ১৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ধীরে ধীরে তাঁর খামার থেকে বাড়তি আয়ের আশা রয়েছে তাঁর।
মো. রাশেদের খামারে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকদের সাথে মাছের পুকুরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। কখনো মাছের খাবার দিচ্ছেন, কখনো ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন বিভিন্ন ফলদ গাছের যতœ নিতে। তাঁর পুকুরে রয়েছে রুই,কাতলা, কার্প,তেলাপিয়া, শিং,পাঙাশ, মৃগেল, নাইলোটিকা, চিংড়িসহ বহু প্রজাতির মাছ। পুকুর পাড়ে রয়েছে সারিবদ্ধ লাগানো পেঁপে গাছ।
মো. রাশেদ আরো বলেন, শুরুতে তাঁর ব্যবসা তেমন ভালো হয়নি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের পরামর্শে তাঁর চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
রাঙামাটিতে ব্যবসার পাশাপাশি পুরোটা সময় দেন মাছ চাষে। বিভিন্ন পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী তাঁর খামার থেকে মাছ কেনেন।
জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে বলেন, “আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন রাশেদ। তিনি নিজে মৎস্য খামারে গিয়েছেন। মাছ চাষে তাঁকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ”
জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা ও বান্দরবান পৌরসভার সচিব মো. তৌহিদ বলেন, “ তাঁকে দেখে এলাকার অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।”
মো. রাশেদের বড় ভাই রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডাক্তার এম এ মোরশেদ বলেন, “ রাশেদ রাঙামাটিতে ব্যবসা করলেও মাছের টানে ছুটে আসে প্রজেক্টে। বেশির ভাগ সে সময় ব্যয় করে মাছের খামারে। ”
শখের বশে মাছ চাষ , এখন বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন রাশেদ
0
Share.