শীতবস্ত্রের বিকিকিনি, গরীবের ভরসা ফুটপাতের দোকান 

0
সো সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট |
পৌষের শীত এখনও জেঁকে বসেনি। গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া হালকা শীত আর ভোরের সকালে কুয়াশামিশ্রিত বিন্দু বিন্দু শিশিরের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীত এসেই গেছে।ভোরে খানিকটা শীতের আভাস মিললেও দিন গড়াতেই আকাশে থাকে রৌদ্রের ঝলকানি। যেটুকু ঠাণ্ডা আবহাওয়ার তীব্রতা নগরবাসী টের পেয়েছেন তাতে শীতবস্ত্র কেনার তেমন আগ্রহ জাগেনি অনেকের।  তবে চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোতে শীতবস্ত্রের বিপুল মজুদ লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের দোকান থেকে শীতবস্ত্র কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নগরের হকার্স মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্রের ক্রেতাদের।ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন অন্য কাপড়ের পরিবর্তে শীতের পোশাক তোলা হয়েছে। আছে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বলও। কেনা-বেচা মোটামুটি বলে জানালেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, এবার বাজারে শীতের কাপড়ের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। দামও গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম।  হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন সাধারণ পোশাক গোডাউনে রেখে দোকান সাজিয়েছেন শীতবস্ত্রে। তাকেও দেখা গেলো শীতবস্ত্র বিকিকিনিতে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব শীতের পোশাক তুললাম, কিন্তু এখনও শীত পুরোপুরি আসলো না। গরম কাপড়ের বাজার ঠাণ্ডা হয়ে আছে’।  আরেক ব্যবসায়ী ওসমানুল হক বলেন, ‘বেচাকেনা খুব কম। যারা আসছেন তারা কম দামে কেনার কথা ভাবছেন। ঠাণ্ডা তেমন নেই, তাই কাপড় কেনার ইচ্ছাও নেই ক্রেতাদের’।এদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই শুধু মূলধন তুলতেই আশার চেয়ে অনেক কম দামের বিক্রি করছেন পণ্য। এমন একজন জয়নাল আবেদীন জানান, আনোয়ারা থেকে একটু বেশি লাভের আশায় তিনি চট্টগ্রাম শহরে শীতের কাপড়, টুপি, মোজা, মাফলার বিক্রি করতে এসেছেন, কিন্তু বাজারের অবস্থা দেখে আবার ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
 হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত বলেন, নগরের বাইরে যারা যাচ্ছেন এমন ক্রেতারা শীতের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা নগরে থাকছেন তারা সেভাবে শীতের কাপড় কিনছেন না।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতের তীব্রতা না থাকায় গরম কাপড় কেনার প্রতি তাদের তেমন আগ্রহ নেই। এখন দেখছেন, কম দামে পছন্দমত কিছু পেলে কিনছেন।

বাকলিয়া এলাকার গৃহিণী সানজিদা আক্তার বলেন, ‘শহরে তেমন ঠাণ্ডা নেই, তাই শীতের কাপড় কিনছি না। গত বছরও তেমন শীতের দেখা মিলেনি। তখন কেনা শীতবস্ত্র রয়ে গেছে এখনও’

Share.

Leave A Reply