ফাদার্লি ম্যাগাজিন ওই গবেষণার বরাতে জানিয়েছে, বিশেষত একগুঁয়ে বাচ্চারাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি সফল হয়।
তবে সাবজেক্টের পুরো ক্যারিয়ারের ধাপগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়নি ওই গবেষণায়। ফলে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ওপর তার আর্থিক সাফল্য কতটা নির্ভর করে তা এই গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে বলা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৭ শতাধিক মানুষের ওপর এই জরিপ চালান প্রতিষ্ঠানটির ছয়জন বিজ্ঞানী। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা, অধিকারের বোধ, বাবা-মায়ের সঙ্গে স্পর্ধা দেখানোর প্রবণতা এবং তারা পড়াশোনায় কতটা সময় ব্যয় করেছিলেন তাতে বিশেষ মনোযোগ দেন গবেষণাকারীরা।
গবেষণা শেষে তারা এই মন্তব্যে পৌঁছান, যারা শিশু বয়সে অভিভাবকদের অবাধ্য ছিল পেশাজীবনে এসে তারাই বেশি বেতনের চাকরি করছে। তবে অবাধ্য হওয়ার সঙ্গে বেশি বেতনের সম্পর্কটা কোথায় সেটির ব্যাখ্যা দিতে পারেননি গবেষকরা।
গবেষকরা তাত্ত্বিকভাবে দেখিয়েছেন যে, জরিপে অংশ নেওয়া নিয়মভাঙা এই ব্যক্তিরা বেশি বেতনের চাকরি করছে কারণ শিক্ষাজীবন থেকেই তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ছিল। এর ফলে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে চাকরির বাজারে তাদের চাহিদা বেড়ে যায়।
তবে অর্থোপার্জনের জন্য এই শ্রেণির ব্যক্তিদের কারও কারও যে অসৎ পথে পা বাড়ানোর সম্ভাবনাও আছে জরিপে সেটিও নাকচ করে দেননি গবেষকরা।
সূত্র : ইউএসএটুডে