চট্টগ্রামে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১০৮ জনের সংক্রমণের মধ্য দিয়ে মোট সংক্রমিত ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, সোমবার চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে ১ হাজার ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এতে শহরের বাসিন্দা ৯১ জন এবং ৭ উপজেলার ১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২২ হাজার ৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও গ্রামের ৫ হাজার ৭৭৬ জন।
উপজেলার পর্যায়ে সোমবার শনাক্ত ১৭ জনের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীর ৪ জন করে, ফটিকছড়ির ৩ জন, পটিয়া ও লোহাগাড়ার ২ জন করে এবং সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপের ১ জন করে রয়েছেন।
সোমবার করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩০৮ জন। এর মধ্যে ২১৪ জন শহরের ও ৯৪ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৩৫ জনকে। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯০০ জনে উন্নীত হয়েছে। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩৪ জন ও ছাড়পত্র নেন ১০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১১০২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৫৮৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৩৫ জনের নমুনার মধ্যে ৫১ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৬৫টি নমুনার ১০টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে (সিভাসু) ৫৪ জনের নমুনায় ৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৬টি নমুনার সবক’টিরই রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে বেসরকারি ইম্পেরিয়ালে হাসপাতাল ৫১, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৬ এবং শেভরনে ২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১০, ৪ ও ১২ জনের শরীরে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। তবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ, চমেকে ১১ দশমিক ৭২, চবি’তে ১৫ দশমিক ৩৮, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৮১, ইম্পেরিয়ালে ১৯ দশমিক ৬১, মা ও শিশুতে ১১ দশমিক ১১ এবং শেভরনে ৪১ দশমিক ৩৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়েছে। এছাড়া, আরটিআরএলে শতভাগ সংক্রমণ ধরা পড়ে।