চট্টগ্রামে নিরাময় কেন্দ্র, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

0

লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়ায় চট্টগ্রাস নগরীর আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকার ‘মন নিরাময় কেন্দ্র’ সিলগালা করে দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি আনোয়ারা উপজেলার একটি ক্লিনিক, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একজন ডাক্তারের চেম্বার সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত পৃথক অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে ‘মন নিরাময় কেন্দ্রটি’ পরিচালিত হচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসলে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।’

অভিযানকালে মন নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ইমরানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইমরান নামের ওই লোকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, মন নিরাময় কেন্দ্রে মোট ১২ জন মানসিক রোগী ছিল। এর মধ্যে তিনজনকে অভিভাবকরা নিয়ে গেছেন। বাকি ৯ জনকে নগরীর পাঁচলাইশের সরকারি নিরাময় কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আনোয়ারা উপজেলার বটতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমদ । এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুউদ্দীন।

অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম ও অনুমোদন না থাকায় আইডিয়াল ক্লিনিক, জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তার নজরুল ইসলামের চেম্বার সীলগালা করে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও শেখ জুবায়ের আহমেদ জানান, এসএমএম পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে উপজেলার বাকি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে। #

Share.

Leave A Reply