ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস শেয়ার করায় হামলা অগ্নিসংযোগ

0

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন সমর্থিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল আউয়াল তুহিনের বাড়িতে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তুহিনের ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তার ঘরের জানালা ভাংচুরসহ তাকে খুঁজছিল হামলাকারীরা।

এ হামলার পর মীরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন তুহিনকে দেখতে এলে তার গাড়ি ভাংচুরসহ তাকে ও তুহিনকে মারধর করে হামলাকারীরা।

পার্শ্ববর্তী সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস শেয়ারের জের ধরে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মীরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজের কাছে স্টেশন রোডের মুখে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবদুল আউয়াল তুহিন বলেন, হামলাকারীরা আমার বাড়িতে অতর্কিতে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। এ সময় আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি কোনোমতে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছি। এরপর বিষয়টি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস ভাইকে জানানোর পর সকাল ৮টায় তিনি আমার বাড়িতে আসেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার গাড়িতেও হামলা করে। তার ব্যবহৃত জিপগাড়িটি ভাংচুর করা হয়। এ সময় গাড়ির কাচে দিয়ে তার পা কেটে যায়। তাকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা আমাকে মারধর এবং নাজেহাল করে।

হামলাকারী কারা এবং কেন হামলা করেছে? জানতে চাইলে তুহিন বলেন, সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্কের একটি স্ট্যাটাস ফেসবুকে শেয়ার করেছি বলে পার্শ্ববর্তী বড়দারোগারহাটের একদল দুষ্কৃতকারী এ হামলা করেছে।

হামলার বিষয়ে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মীরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের বাড়িতে হামলা হলে আমি দেখতে যাই। সেখানে আমার ওপর হামলা হয়। হামলার পর আমি মীরসরাই থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি।

তিনি আরও বলেন, আমি মীরসরাই থানায় গিয়ে ওসিকে বিষয়টি অবহিত করি এবং এমন ঘটনার আইনগত সহযোগিতা কামনা করি। তিনি অভিযোগ শুনেছেন তবে নথিভুক্ত করেননি। চমেক হাসপাতালের ২৬নং ওয়ার্ডের ৬৫নং বেডে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, তুহিনের শেয়ার করা স্ট্যাটাসটি পড়ে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী লিখেছেন- ‘সীতাকুণ্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অনুমোদন করা হয়েছে।’ ওই স্ট্যাটাস দেখেই সীতাকুণ্ড এলাকার কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে- এমনটিই ধারণা করছেন অনেকে।

তুহিন ও গিয়াস উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল কামাল মিঠু বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের এলাকার কেউ জড়িত নয়।

মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, যতদূর বুঝতে পারছি এটি ভিন্ন এলাকার কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনার অংশ হতে পারে। আমাদের এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

মীরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সকাল ৮টায় থানায় এসে মৌখিকভাবে বিস্তারিত সব জানিয়েছেন এবং দেখিয়েছেন। উনার সব বক্তব্যের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ প্রদান করেননি। তবু ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.

Leave A Reply