মাছ ধরার বড়শিতে উঠে এল তরুণীর লাশ : পরা হলো না বিয়ের সিঁদুর

0

ঢাকা ব্যুরো : বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল প্রীতি মদকের (১৭)। কিন্তু হাতে মেহেদি, কপালে সিঁদুর পরা হলো না তার। শুক্রবার কেরানীগঞ্জ শাক্তা ইউনিয়নের বামনশুর মসজিদ ঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। নিহত প্রীতি স্থানীয় নয়াবাজার কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং শিকারীটোলা গ্রামের সমর মদকের মেয়ে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় শিক্ষক নাজিবুল্লাহ জানান, শুক্রবার সকালে বামনশুর মসজিদের পুকুরে বড়শিতে মাছ ধরছিল প্রায় ১৫/২০ জন শৌখিন মাছ শিকারি। মসজিদের পুকুরে মাছ শিকারের সময় একটি বড়শিতে প্রতিমার কামিজ আটকা পড়ে। এ সময় লোকজন মাছ মনে করে পানি থেকে তুলতে গেলে কলেজছাত্রীর লাশ পাওয়া যায়। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। লাশ দেখতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে মসজিদ ঘাটে। পরে জানা যায় সে শিকারীটোলা গ্রামের সমর মদকের মেয়ে প্রীতি।
নিহতের চাচাতো ভাই দিপক জানান, আমার বোন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে নিখোঁজ ছিল। ২৪ নভেম্বর তার বিয়ের কথা ছিল একই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা দীপ্ত সরকারের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের দুই দিন আগে তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছিলাম আমরা। পাশাপাশি তার প্রেমিক পলাশকে ধরে জিজ্ঞেস করলে তার কাছেও সঠিক তথ্য পাইনি। পরে আজ সকালে বাড়ির কাছেই পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। আমাদের ধারণা তার প্রেমিক পলাশই তাকে হত্যা করেছে। পলাশকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে একই গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কোনো এক গ্রামে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের বামনশুর গ্রামের মসজিদের পুকুর থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুনেছি আগামী ২৪ নভেম্বর মেয়েটির বিয়ের কথা ছিল দীপ্ত নামের এক যুবকের সঙ্গে, পাশাপাশি মেয়েটির পলাশ নামে আরেকটি ছেলের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা সবকিছু মাথায় রেখেই ব্যাপারটি দেখছি। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Share.

Leave A Reply