যারা ভাস্কর্য ভেঙেছেন তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আপনারা ভালো হয়ে যান। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করেন। তা না হলে আপনাদের টুঁটি চেপে ধরে বের করে নিয়ে আসবে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীরা।’
যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের টুঁটি চেপে ধরার ঘোষণা দেয়া হয়েছে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক বিক্ষোভে। বলা হয়েছে, যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের কীভাবে দমন করতে হয়, সেটি জানা আছে।
কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে আলাদা মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগও।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সংগঠনের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর বলেন, পাকিস্তানের পেতাত্মারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা ভাস্কর্য ভেঙেছেন তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আপনারা ভালো হয়ে যান। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। তা না হলে আপনাদের টুঁটি চেপে ধরে বের করে নিয়ে আসবে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীরা।’
‘আপনাদের কীভাবে দমন করতে হবে সেই কৌশল আমাদের জানা আছে’- বলেন মান্নাফী।
রোববার বিকাল তিনটায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণাও দেয়া হয় সমাবেশে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান দেয়া হয়, ‘বাংলাদেশের অপর নাম, শেখ মুজিবুর রহমান’।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে কৃষক লীগ। পরে মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় নেতা-কর্মীরা।
ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার মধ্যে গত রাতে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে দুই যুবক রাত দুইটার পরে এই কাজ করেছে।
ভাস্কর্যবিরোধীদের নানা বক্তব্যে আগে থেকে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগে এই ঘটনাটি আরও বেশি ক্ষোভ তৈরি করেছে। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘মাথা গরম’ না করার অনুরোধ করেছেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে ভাস্কর্য ইস্যুটির সমাধান হবে।