অনলাইন ডেস্ক
আগামী জানুয়ারির প্রথম দিকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মানান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নুর।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, আগামী মাসের প্রথম দিকেই… প্রথম কোয়ার্টারেই আমরা টিকা পেয়ে যাব। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করেছি। তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার নিয়ে আসছে সরাসরি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থা তৈরি হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভালো রয়েছে। যে কারণে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের কারণে বাংলাদেশ গড় আয়ু বাড়ছে, ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শিশু-মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসছে। দেশের ৯০ শতাংশ শিশুকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিকার এই ব্যবস্থা করতে পেরেছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ডব্লিউএইচও আমাদের টিকা দেবে আমাদের জনসংখ্যার বিশ শতাংশ হারে। সেটা আসতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা টিকা পাব। অনেক দেশ আছে, যারা এখনও টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি।”
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিশুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী শনিবার সারাদেশে হাম-রুবেলার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এ কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচে প্রায় তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি জানিয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দান চলবে।
করোনা ভ্যাকসিন পেতে সরকারের সব প্রস্ততি রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সাড়ে চার কোটি মানুষদের টিকা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।