রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং নৌকা মার্কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নে বদলে গেছে। আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশ এবং এখনকার উন্নয়নে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্রে আকাশ-জমিন ফারাক রয়েছে। এখন সকালবেলা মা আমাকে দু’মুঠো খেতে দাও, মা আমাকে বাসি ভাত দাও সে কথা আর শুনা যায় না। রাঙ্গুনিয়ায় ১২ বছর আগে মাত্র ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হতো, এখন বিদ্যুৎ খরচ হয় ২০ মেগাওয়াট। এটির কারণ হচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে গেছে। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে বদলে গেছে আমাদের দেশ। উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও কে কোন দলের বা কোন পথের তা বিবেচনায় আনিনি। উন্নয়নে বদলে যাওয়ার এবং মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা পাল্টে যাওয়ার এই গল্প মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে।” শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়ালী বক্তব্যে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। আমাদের দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তরুণ নেতাকর্মীকে বলবো , দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কিছু করা যাবে না। মানুষ বিরক্ত হয় এমন কোনো কাজ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কোদালা বাজার মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। উদ্বোধক ছিলেন কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মাষ্টারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম চিশতি, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার নূর লিটন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল সালাম মেম্বার , ফজল করিম, মো. ইদ্রিছ বি.কম, লিয়াকত আলী, এম খোরশেদ আলম, আব্দুল গফুর, মো. সেলিম, জহির আহমদ কোম্পানি, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবদুল জব্বার, সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান কুসুম, সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার আজম লিটন, যুবলীগ নেতা রফিক হাসান, কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার, ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।
রাঙ্গুনিয়ায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী- “দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কিছু করা যাবে না”
0
Share.