ঘটনাটি ভুলবশত ঘটেছে বলে তারা দাবি জানালেও তাদের আসলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে কি না সে প্রশ্ন তুলেছেন শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে জুতা পায়ে শহিদ মিনারে ওঠার অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিক খান ও শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
১৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। ছবিতে দেখা যায় এসিল্যান্ড ও ওসি জুতা পায়ে শহিদ মিনারের বেদীতে দাঁড়িয়ে আছেন।
এ ঘটনা ভুলবশত ঘটেছে বলে তারা দাবি জানালেও তাদের আসলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে কি না সে প্রশ্ন তুলেছেন শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌর গোপাল গোস্বামী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলীপ ঘটনাটিকে খুব দুঃখজনক মন্তব্য করে বলেন, ‘এর অর্থ ওই কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার দরকার, তাই তারা সেখানে ছিলেন। আসলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এমনই হয়।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার গৌর গোপাল বলেন, ‘আশ্চর্যজনক বিষয়। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। এটা কারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড আশিক খান বলেন, ‘এটা অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাক দেয়ায় তাড়াহুড়ো করে বেদীতে উঠে পড়ি। পরে পাশে থাকা কেউ একজন আমাকে জুতা পড়ে ওঠার বিষয়ে বলেন। তখন সঙ্গেসঙ্গে জুতা খুলে আবার বেদীতে উঠি।’
ওসি আজীম উদ্দিন বলেন, ‘কিছু সময়ের জন্য জুতা পরেছিলাম। পরে আশপাশের লোকজন বলার পরপরই জুতা খুলে ফেলি। ভুলবশত এটা হয়ে গেছে।’
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা পারভীন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান এম সুলতান আহমেদ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালেবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।