শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টেলিভিশনের মাধ্যমে শ্রেণি পাঠদান সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। সেই সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে আরো এক দফা ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা এলো। সেই ছুটি এবার জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো।
এর আগে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছুটি বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা এ মাসের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরো বাড়বে, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারবো এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনো কাজ করছি।
দীপু মনি বলেন, সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
করোনা মহামারীর মধ্যে এবার পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেনির সমাপনী পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেবে না সরকার। আর অষ্টম শ্রেণির সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।