বাঙালির খাবারের পাতে পটলের কদর সব সময়ই। ইলিশ-পটলের ঝোল একটি জনপ্রিয় খাবার। পটলের দোলমা, পটলের কারি কিংবা পটল ভাজা- প্রত্যেকটিই সুস্বাদু। পটল শুধু স্বাদেই চমৎকার নয়, এর গুণও রয়েছে ভুড়িভুড়ি! এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট! তাই নিয়মিত পটল খেলে সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য সহায়ক হতে পারে পটল। পটলে খুব কম ক্যালরি রয়েছে। অথচ, পেট ভর্তি রাখে। কাজেই ওজন কমাতে পটলের বিকল্প মেলা ভার!
পটল ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এ ভরপুর। কাজেই ত্বকের জন্যও উপকারি! ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
পটল রক্ত পরিশোধিত করে। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠান্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথায় পটল খেতে বলা হয়।
পটলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ও লিভারেরসমস্যা সমাধানে এক্সপার্ট! পাশাপাশি পটলের বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। পটল ও ধনেপাতা থেঁতলে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণটিকে ৩ ভাগ করে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার খান। হজমের সমস্যা কাছে ঘেঁষবে না!
মাথাব্যথার সমস্যায় কাজে লাগাতে পারেন এই পটল। কীভাবে? পটলের রস করে মাথায় লাগান। মাথাব্যথা দূর হবে দ্রুতই।
পটলের পাতার রস ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে এবং টাকের সমস্যা সমাধানেও কাজে লাগে।