রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়ায় কৃষি জমির যাতায়াতের একমাত্র পথ বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মোয়াজ্জিন বাড়ি এলাকায় প্রভাবশালী কর্তৃক পাকা দেয়াল দেয়ার ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক’শ কৃষক। যাতায়াতের দীর্ঘদিনের পুরনো পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় শত একর জমির চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁদের। এই ব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি থানাকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন ইউএনও। একই এলাকার আবদুল আজিজ পাইক্কার ছেলে মো. আমান দেয়াল নির্মাণ করে কৃষকদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা যায়।
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই রবিউল হোসেন বলেন “কৃষি জমিতে যাওয়ার পথে দেয়াল নির্মাণের বিষয়টি সঠিক। তবে যিনি পাকা দেয়াল নির্মাণ করেছেন তিনি এটি তাঁর জায়গা বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মোয়াজ্জিন বাড়ি এলাকায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। তাঁদের অধিকাংশই এই জমিতে চাষাবাদের সাথে জড়িত। জমিতে পশ্চিম নিশ্চিন্তাপুর মৌজার কৃষি জমিতে যাতায়াতের জন্য পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে একটি সরু রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় কয়েক’শ কৃষক চাষাবাদের জন্য যুগ যুগ ধরে চলাচল করে আসছে। তবে সম্প্রতি সড়কের পাশ্ববর্তী দীর্ঘদিনের ব্যবহারের চলাচলের পথ বন্ধ করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান আমান। ফলে চলাচলের পথ হারিয়ে কৃষি জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কৃষকদের।
স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম বলেন, “এলাকার চাষাবাদের জন্য এই পথটি প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম। পথটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর করে দখল করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে দেয়। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্নজন দেয়াল নির্মাণে তাদের নিষেধ করলেও তারা কারো কথা শুনছে না। ”
এতদিন মানুষ কৃষি জমিতে যাতায়াত করলেও সেটা কোন রাস্তা নয়, যেখানে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে সেটা নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে দেয়াল নির্মাণকারী মো. আমান বলেন, বর্তমানে আমাদেও পারিবারিক প্রয়োজনে দেয়াল দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দেয়াল নির্মাণের কারণে কয়েক’শ কৃষক চরম ভোগান্তিতে পড়বেন।
কৃষি জমির যাতায়াতে পাকা দেয়াল, রাঙ্গুনিয়ায় কয়েক’শ কৃষকদের ভোগান্তি
0
Share.