রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পরে সেটি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, গ্রেপ্তার ও মাদরাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা এবং ফৌজদারী আইনে মামলা করা হয়েছে কিনা তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।এছাড়া নির্যাতনের শিকার শিশুকে চিকিৎসা ও নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে কিনা তা আগামী রোববারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসময় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বার বার এ ঘটনা ঘটছে। এছাড়া শিশুটির পরিবারকে কোনও চাপ দেয়া হয়েছে কিনা তাও জানাতে বলা হয়েছে।অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, শুনানিতে আদালত মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের ঘটনা মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার ইমেজ ক্ষুণ্ণ করেছে।এদিকে শিশুটিকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসাশিক্ষক ইয়াহহিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানান হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
ওসি বলেন, মামলা দায়েরের জন্য শিশুর মা-বাবাকে রাজি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তারা রাজি না হন, তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।