বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি বিপর্যয়ের কারণে ব্যাংকিং সেক্টরের আর্থিক খাতে আন্তঃব্যাংক চেক লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার-ইএফটি মাধ্যমে লেনদেনও বন্ধ রয়েছে।
করোনার কারণে বিধিনিষেধের মধ্যে এই বিষয়টি ভোগান্তি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপাতত চেক নিষ্পত্তি বন্ধ আছে। রোববার নাগাদ ঠিক হবে।’
তিনি জানান, আন্তঃব্যাংক চেক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এখন ম্যানুয়াল সিস্টেম পরিপালন করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই সংকট থেকে উত্তরণ হওয়া যায় তারই চেষ্টা চলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি ডেটা সেন্টারের মধ্যে সংযোগকারী ফাইবার অপটিক্যাল কেবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এরপর মাইক্রোসফট ও ভিএমওয়্যার-এই দুইটি প্রযুক্তি টিম এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। যে দুটি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।
আন্তঃব্যাংক চেক লেনদেন ও ইএফটিএন- এই দুটিই ব্যাংকিং সেক্টরের আর্থিক খাতে লেনদেনের অন্যতম বড় দুটি মাধ্যম। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি বিপর্যয়ের কারণে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আন্তঃব্যাংক লেনদেন নিষ্পত্তি না হওয়ায় জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে বহুজনকে। যারা ইএফটিএনের মাধ্যমে ঋণের কিস্তি বা ক্রেডিট কার্ডের বিল দিয়েছেন, সেগুলো সময় মতো নিষ্পত্তি না হলে লেট পেমেন্ট ফি দিতে হতে পারে।
গত ৫ এপ্রিল এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ দেয়ার সময় লেট পেমেন্ট নেয়া যাবে না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার দিলেও ১৪ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধের আগে এই ধরনের কোনো সার্কুলার আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যখন ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয় তখন হলিডে লেখা সার্ভারে যুক্ত হওয়ার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। পরে যখন আবার ব্যাংক চালুর ঘোষণা দেয়া হলো, তখন সার্ভার চালু হতে সময় নিচ্ছে।
‘ব্রডব্যান্ড লাইনে ত্রুটি রয়েছে। পাশাপাশি বিটিআরসির বিভিন্ন সমস্যার কারণে লেনদেনের ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।’