নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ভারতীয় একটি ধরন পাওয়া গেছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এটি পেয়েছে। আর এ–সংক্রান্ত তথ্য জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাতে (জিআইএসএআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ১৮ মার্চ।
দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং হয় অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে। তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম আজ শনিবার জিআইএসএআইডির উপাত্ত ধরে প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) বি.১.৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে। ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভের নমুনা সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হলো ‘আইদেশি’(Ideshi)।
সৈয়দ মুক্তাদির বলেন, জিএসআইডির উপাত্ত বলছে, এটি গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।
উপাত্ত তুলে ধরে সেঁজুতি সাহা পবলেন, ‘যে ভেরিয়েন্ট (বি.১.৬১৭.২) বাংলাদেশে পাওয়া গেছে, সেখানে ই৪৮৪কিউ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো। এখানে আমাদের টিকা কাজ করবে বলে মনে হয়।’
সেঁজুতি সাহা আরও বলেন, ‘ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। গতকালই পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এটিকে ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই ইমিডিয়েটলি এর সঠিক কোয়ারেন্টিন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং সিকোয়েন্সিং করে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে।’