রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট নদী তীরের ২৭ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পাউবো’র নোটিশ

0

প্রতিনিধি,রাঙ্গুনিয়া,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট বাজার সংলগ্ন ইছামতী ব্রীজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ দখলদার কর্তৃক নির্মিত ২৭ স্থাপনা উচ্ছেদে নোটিশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। নোটিশ জারির এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ দায়িত্বে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে নিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা নিজ দায়িত্বে অপসারণ না করলে উচ্ছেদসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম।
রোয়াজারহাটের নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- ইব্রাহীম সওদাগরের গুদাম ঘর, পারভেজের শুটকি দোকান, নুরুল ইসলাম বাঘার মুরগী দোকান, ডা. বি কে বড়ুয়ার ঔষধের দোকান, এনামের কাঁচামাল দোকান, মনছুরের কাঁচামালের দোকান, নাজিমের কাচাঁমাল দোকান, সাহেদের কাঁচামাল দোকাম, ওয়াসিমের কাঁচামাল দোকান, আজিজের কাঁচামাল দোকান, মিল্লাদ কাঁচামাল দোকান, শুক্কুরের কাঁচামাল দোকান, সঞ্জয় কাচাঁমাল দোকান, আনু ফকিরের চা দোকান, সেকান্দরের বাঁশ বিক্রির দোকান, মনছুরের মোবাইল ও ষ্টেশনারী দোকান, মো. জামালের মিষ্টি দোকান, মো. সাদ্দামের চা দোকান, মুন্নী ঝালের দোকান, জামালের পান দোকান, সেলিমের মুরগী দোকান, আহমদ সৈয়দের মুরগী দোকান, সেলুকের মুদি দোকান, শুক্কুর সওদাগরের মুদি দোকান, জমিরের মুরগী দোকান, নূর মোহাম্মদের তরকারি দোকান ও বদির মুদি দোকান। এরবাইরেও রোয়াজারহাট এলাকায় ইছামতী নদীয় জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে আরও বিভিন্ন বিপনী বিতান, ভাড়া বাসা, বসতঘরসহ আরও নানা অবৈধ স্থাপনা।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ স্থাপনা এবং দখলদারদের কারণে রাঙ্গামাটির কাউখালি থেকে বয়ে চলা স্্েরাতস্বিনী ইছামতী নদী মরে যাচ্ছে। ইছামতি নদীর ভাটিতে রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজারহাট ও রাণীরহাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তীরের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। বিভিন্ন বর্জ্য ও আবর্জনা ফেলার পাশাপাশি দখল দুষণের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে ইছামতি নদী। এতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলীর শাখা নদী ইছামতী। কমে গেছে পানি প্রবাহের গতি। ফলে জোয়ারভাটা বাধাঁগ্রস্থ হয়ে আশপাশের কৃষি ক্ষেতেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে দখল প্রক্রিয়া চলে এখন পর্যন্ত ইছামতীর রাঙ্গুনিয়া অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশজুড়ে রয়েছে কয়েক শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এভাবে দিনের পর দিন দখল প্রক্রিয়া চললেও একেবারে নিরব ভূমিকায় ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে সরকারি এ সংস্থাটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটি পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, রোয়াজারহাটে ইছামতী ব্রীজ কাম রেগুলেটর ও ফ্লাড বাইপাস এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সেচ ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের কাজ ব্যহত হওয়াসহ উক্ত স্থানে নির্মিত পাউবো’র অবকাঠামো সমূহ হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এই অবকাঠামোর স্বাভাবিক পরিচালনা ব্যহত হওয়ায় পাউবো’র কর্ণফুলী সেচ প্রকল্পে (ইছামতী ইউনিট) নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে পাউবো তথা রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি নদী দখলদার এবং পাউবোর জায়গা দখলকারীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরমধ্যে মঙ্গলবার ২৭ দখলদারকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যারা নিবেনা তাদের উচ্ছেদ করা হবে। অবৈধ দখলদারদের তালিকা সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

 

 

 

 

Share.

Leave A Reply