হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তাঁর পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে এই গ্রেনেড হামলা হয়েছে। এই হামলা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতাতেই পরিচালিত। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়া পরিবারই তখন ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেন এবং খালেদা জিয়া তা অব্যাহত রাখেন।’
জিঘাংসার রাজনীতি আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির অন্যতম প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে হত্যা করে নির্মূল করতে হবে, এই রাজনীতি যারা করে, তারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। আর এই দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতিটা করে বিএনপি এবং জামাত।’
দেশে সত্যিকার অর্থে সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে যারা হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি করে, মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে ও মানুষকে জিম্মি করার রাজনীতি করে, তাদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত ও ক্ষতবাহী আওয়ামী লীগের তৎকালীন পরিবেশ ও বনবিষয়ক সম্পাদক হাছান মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে সেদিনের হামলা ও রক্তপাতের ভয়াবহতার বর্ণনা দেন। গ্রেনেড হামলায় রক্তাক্ত মানুষের কয়েকটি ছবি দেখান সংসদ সদস্য নাসিমা ফেরদৌসী।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় ‘২১ আগস্ট বাংলাদেশ’ সংগঠনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি ও মুখ্য আলোচক, বিএসএমএমইউর উপ–উপাচার্য ছায়েফ উদ্দিন আহমদ শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাসিমা ফেরদৌসী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম গ্রেনেড হামলায় আহত ব্যক্তিদের পক্ষে স্মৃতিচারণামূলক বক্তব্য দেন।
