তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনায় একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধন ছিল। তরমুজ ছোড়ার বিপরীতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদ যে গুলি ছুড়েছেন তাতে কার নির্দেশ ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেদোয়ান আহমেদের গুলি ছোড়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের শীর্ষ নেতাদের হাত আছে কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আজ মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রেদোয়ান আহমেদের পক্ষে সাফাই গাইছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম কিংবা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতার নির্দেশে রেদোয়ান আহমেদ গুলি ছুড়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। যেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা একটি তরমুজ ছুড়ে মেরেছে তার প্রতি উত্তরে তিনি গুলি ছুড়েছেন। আমাদের দলের দুজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েজন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। আর যারা দোষীসাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি যে বিবৃতি দিয়েছে তার সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, টিআইবি ইদানিং কথায় কথায় বিবৃতি দেয়। সম্প্রতি মধ্যরাতে রেলের টিটিইকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটার খোঁজ-খবর না দিয়ে সকালে টিআইবি বিবৃতি দিয়ে দিল। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই যেমন টিআইবি বিবৃতি দেন তেমনি বিএনপির রুহুল কবির রিজভী বিবৃতি দেন। রুহুল কবির রিজভী ও টিআইবির মধ্যে পার্থক্য দেখছি না।
পরে মন্ত্রী রংপুর মহাগর কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের প্রথম কমিটি গঠন সম্মেলনে যোগ দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সফি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল প্রমুখ।