আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘কোনো দুস্কৃতিকারীকে রাজপথ ইজারা দেই নাই, রাজপথ দখল করবে, মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারবে সেটা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হতে দেবে না। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে।’
বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আজ বিকেলের এক নয়াপল্টনে মিটিং করে বলেছেন- রাজপথ দখল করতে হবে। আমি নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাই, এটি শোকের মাস। শোকের মাস হিসাবে নানান কর্মসূচী পালন করছি। সেপ্টেম্বরে আমরা মাঠে নামবো। রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা রাজপথ দখলে রাখবো আগামী মাস থেকে। কোনো দুস্কৃতিকারী যাতে মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করতে না পারে। বিএনপি নামধারী, বিএনপির ব্যানারে দুস্কৃতিকারীরা আবার যাতে মানুষের উপর হামলা করতে না পারে, জিম্মি করতে না পারে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করতে না পারে সে জন্য আগামী মাস থেকে নির্বাজন পর্যন্ত রাজপথ আমরা দখলে রাখবো।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। যখন পৃথিবীতে স্থিতিশীলভাবে দাম কমবে, তখন বাংলাদেশেও কমবে। তেলের এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে কারও মাঠ গরম করার সুযোগ নেই।’
বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ এর রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দারিদ্র্যের হার এক শতাংশ কমেছে এবং অতি দারিদ্র্যের হার প্রায় ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়েও ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বক্তব্য দিয়েছেন যে দরিদ্রতা বাড়বে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা কমেছে। মহামারি মোকাবিলাতেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
সম্প্রতি লন্ডনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো দেশে যদি তিন মাসের আমদানী ব্যয় মেটানোর জন্য রিজার্ভ থাকে তাহলে সেটা সন্তোষজনক। আমদের ছয় মাসের আমদানী ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। রিজার্ভের ক্ষেত্রে সমগ্র পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই আমাদের অবস্থান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।