খাগড়াছড়িতে স্ত্রী দাবি করায় প্রধান শিক্ষিকাকে পেটালেন শিক্ষা অফিসার

0
খাগড়াছড়িতে এক প্রধান শিক্ষিকাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা। ঘটনার পর আহত শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরাকে (৪৪) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মৌসুমী ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। অভিযুক্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার কার্যালয়ে কর্মরত।
আহত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, সকালে বিদ্যালয়ের নড়বড়ে গেইট সংস্কার করার আবেদন নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে সুভায়ন খীসা আমার সাথে কথা বলেননি। অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এক পর্যায়ে আমাকে গালিগালাজ করে। পরে আমাকে ঘুষি মেরে আহত করে। সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এই শিক্ষিকা আরও দাবি করেন, শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা আমাকে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেছে। কিন্তু স্বীকৃতি দিচ্ছে না। স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করার কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আজকে আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে।
এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা বলেন, আমি অফিসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। এসময় প্রধান শিক্ষিকা ফাইল নিয়ে আমার কক্ষে আসে। তিনি আমার হাত ধরে কথা বলছিল। অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে তার সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে দরজায় ধাক্কা খেয়ে তিনি আহত হন। সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তবে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেছেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটা মিথ্যা এবং বানোয়েট।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া বলেন, আহত মৌসুমী ত্রিপুরা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার বাম চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে ভর্তি করেছি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Share.

Leave A Reply