নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

0

রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব। কারণ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। জনগণের ক্ষমতায়ন যদি করতে হয় নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। সেজন্য আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, নারী উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার যত কাজ করেছে অন্যকোন সরকার এই কাজ করেনি। বাংলাদেশে আরো নেত্রী আছে, তারা নারী উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। নারীর উন্নয়নের জন্য বিএনপি ও তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও কোন কাজ করেনি। উনারা শুধু নিজের উন্নয়নের জন্য করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পলাশী মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নিলুফার আকতারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারন সম্পাদক বাসন্তি প্রভা পালিত।
হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেভাবে নারী উন্নয়ন হয়েছে এটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কেউ ভাবেনি একজন মহিলা ডিসি-এসপি হবেন। কিন্তু আজকে বাংলাদেশের অনেক গুলো ইউএনও হচ্ছে নারী, অনেক জেলার ডিসিও নারী। এবং তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে এটি অভাবনীয়।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন জনগণের রায়ে প্রথম সরকারের দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। আমাদের নেত্রী হাইকোর্টের জজ নিয়োগ দিয়েছিলেন নারী, হাইকোর্টের আপীল বিভাগের জজও নিয়োগ দেন নারীকে। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ের নারী সচিব দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন নয়, গ্রামে গঞ্জে সবখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে এক তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিশ্চিত জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সন্তান জন্মের পর আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু পিতার নাম লেখা হতো, এখন মায়ের নামও লেখা হয়। বাংলাদেশের নারীরা কখনো দাবি দেননি স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা চালু করেছেন। ইউরোপেও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা নাই। মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নারী উন্নয়নে যেসব ভাতা চালু করেছেন তা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ।
তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে মোবাইল ফোনে মায়ের কাছে উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে। নারীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের যেই অবদান সেটি ভোটের সময়ও নারীদের মনে রাখতে হবে। এদেশের নারী সমাজ যাতে ভোট আসলে নৌকা প্রতিক ভুলে না যাই সেজন্য গ্রামেগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দদের দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখতে হবে।
মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আ.লীগ নেতা জহির আহমেদ চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, আ.লীগ নেতাআকতার হোসেন খাঁন, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মে. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দা রিফাত আকতার , আইনজীবি রেহেনা আকতার প্রমুখ।

Share.

Leave A Reply